ম্যানচেষ্টার, ১০ জুলাই ২০২৩:
বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টারের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য তথা ম্যানচেষ্টারে বাংলাদেশী গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু, মুখরোচক ফলের (আম, কাঠাল এবং লটকন) সমাহারে ফল-উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের ক‚টনীতিকগণ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ম্যানচেষ্টারের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ী এবং বৃটিশ বাংলাদেশীদের বিপুল ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সহকারী হাই-কমিশনের প্রাঙ্গণে বাংলাদেশী গ্রীষ্মকালীন ফলের সমাহারে ফল-উৎসব আয়োজিত হয়েছে।
দিনব্যাপী আয়োজিত ফল-উৎসবে বৃহত্তর ম্যানচেষ্টার এবং নর্থ ইংল্যান্ডের বিপুল বাংলাদেশী ও বৃটিশ-বাংলাদেশীর সমাগম ঘটে। উৎসবমুখর পরিবেশে বৃটিশ-বাংলাদেশীরা পরিবারসহ সহকারী হাই-কমিশনের প্রাঙ্গণে হাজির হন এবং বাংলাদেশী গ্রীষ্মকালীন ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু ফল আম, কাঠাল এবং লটকনের স্বাদ উপভোগ করেন। আয়োজিত ফল-উৎসবে বৃটিশ বাংলাদেশীদের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের তরুন সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের বৃটিশ বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশী গ্রীষ্মকালীন ফল সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। এ ধরনের ফল-উৎসব বৃটিশ-বাংলাদেশী, বিশেষ করে, নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশী ফল সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃটিশ-বাংলাদেশী নাগরিকদের পাশাপাশি ফল-উৎসবে আগত বিদেশী অতিথিরাও দিন-ব্যাপী বাংলাদেশী গ্রীষ্মকালীন ফলসমূহের স্বাদ তৃপ্তিসহকারে গ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশী ফলসমূহের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।
ম্যানচেষ্টারের বৃটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটি প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্য বিশেষ করে ম্যানচেষ্টারে এ রকম বাংলাদেশী গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু, মুখরোচক ফলের (আম, কাঠাল এবং লটকন) আয়োজনের জন্য সহকারী হাই-কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যুক্তরাজ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড়ো পরিসরে দিন-ব্যাপী ফল-উৎসব আয়োজন সত্যিই তাদেরকে বিমোহিত করেছে বলে তারা অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশী ফলের একটি করে গুচ্ছ ম্যানচেষ্টার ও আশে পাশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সরকারী ব্যক্তিত্ব এবং ক‚টনীতিকদের উপহার হিসেবেও প্রেরণ করা হয়েছে।
সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান জানান যে, প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ ফল-উৎসবের মূলত তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে, যথা, বৃটেনে বসবাসরত কমিউনিটি সদস্যদের মাঝে বাংলাদেশী মুখরোচক ও অতুলনীয় ফলের পরিচিতি ঘটানোর মাধ্যমে এ ফলের প্রতি তাদের চাহিদা সৃষ্টি করা; দ্বিতীয়ত, নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী বংশোদ্ভ‚ত বৃটিশ নাগরিকদের মাঝে বাংলাদেশী ফল তথা কৃষিপণ্যের বৈচিত্র্য তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের ব্র্যান্ডিং এ সহায়ক ভ‚মিকা রাখা এবং তৃতীয়ত, কমিউনিটি চাহিদা সৃষ্টির মাধ্যমে আগত ব্যবসায়ীদের মধ্যে এবং চেইন শপগুলোর কাছে বাংলাদেশী কৃষিজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখা। তিনি যোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশী কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা হিসেবে এ ফল উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। সহকারী হাই-কমিশনারের উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসব প্রতি বছর পালনের জন্য কমিউনিটি অনুরোধ জানিয়েছেন এবং এ উৎসব আয়োজনের জন্য সহকারী হাই-কমিশনারকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।