Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 13th January 2021
Press Release

ইসলামাবাদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপিত

 

ইসলামাবাদ, ১১ জানুয়ারি ২০২১ঃ

 

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সাথে পালন করেছে। এ উপলক্ষ্যে হাইকমিশনের চান্সারী ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্য অতিথি এতে অংশ নেন।

 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। কোরআন তেলাওয়াতের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

 

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বেহাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কোন লিখনীতে লেখার মতো নয়,কোন বক্তব্যে তুলে ধরার মতো নয়। ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল ও একমাত্র স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশ- যা মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরত এসে বঙ্গবন্ধু আবার দেখতে পাবেন তা ছিল অভাবনীয়। বঙ্গবন্ধুর নামে মু্ক্তিয্দ্ধু পরিচালিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সেদিন সকল বীর সেনানী,অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের সকল সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযানের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজিওসমানি, বঙ্গবন্ধুর পিতা এবং জনগণের সামনে বঙ্গবন্ধুর জীবনে প্রথমবার তাঁর চোখবেয়ে পানি নেমে আসে। সে অশ্রু ছিল আবেগ, অনুভূতি ও আনন্দের। যে জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন বিমানবন্দর থেকে পরিবারের কাছে না গিয়েতিনি প্রথমেই সেই জনগণের কাছে যান। তাই বঙ্গবন্ধু আজও জনগণের  মাঝেই বেঁচে আছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর অনুভূতি, আবেগ দিয়ে বাংলারমানুষের কাছে ফেরত আসার যে আকুতি, সেই আকুতির কথা তুলে ধরেন। তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি মানুষের সাথে থাকার প্রত্যয়ও এদিন ব্যক্ত করেন। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়এই ইতিহাসের গুরুত্ব উল্লেখ করে আরোবলেন,বঙ্গবন্ধু একটি নাম নয়, একজনব্যক্তি নয়,বঙ্গবন্ধু একটি ইতিহাস ও ঘটনা। দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, মানুষের প্রতি তাঁর দায় এবং নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার কারণেবঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাংলাদেশের ইতিহাস না বিশ্বের ইতিহাসেওএকটি প্রতিষ্ঠান হিসেবেপ্রতিষ্ঠিত। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ১০ জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুকে ফেরত পাওয়া বাঙালি জাতির জন্য ছিল একটা অমর পাওয়া। তখন বাংলাদেশ ছিল একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ,শতছিন্ন ছিলঅর্থনীতি, ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল অবকাঠামো, নিপীড়িত মানুষ, ক্ষুধার্ত মানুষ, আয়ের কোন উৎস ছিলনা, ছিন্নভিন্ন ছিল সকল পরিবার,কেউ মৃত্যুবরণ করেছে আবার কেউ তখনওপরিবারের সাথে পুনর্মিলিত হতে পারেনি। কোন প্রশাসনিক অবকাঠামো ছিলনা, কোন সংবিধান ছিলনা- এই ধরনের পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর আগমন ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু সেই সময় ছিলেন আমাদের ঐক্যের প্রতীক, পৃথিবীতে শেষ আশ্রয়স্থলের মতো। তার ফেরত আসার কারণে দ্রুতসময়ের মধ্যে যেসমস্ত ঘটনা ঘটেছিল তাছিল- মাত্র তিন মাসের মধ্যে মৈত্রী বাহিনীর ভারতীয় সদস্যদের ফেরত যাওয়া, বিজয়ের মাত্র ১ বছরের মাথায়।

 

-২-

 

বাংলাদেশের নতুন সংবিধান পাওয়া, মাত্র ৩/৬ মাসের মধ্যে জেলা পর্যায়েরসকলস্তরে মৌলিক প্রশাসনিক কাঠামো স্থাপন করা ওভঙ্গুর অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করা। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ইতিহাস সমুন্নত হয় ও বাংলাদেশকে একেরপর এক দেশ স্বীকৃতি দিতে থাকে। সবই ছিল এক একটি মাইলস্টোন। এই মহামানব বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকা সত্তে¡ও শক্তিশালী স্পৃহার নাম হয়ে দাঁড়ায় মুক্তিবাহিনীর কাছে। তিনি সকল বীর জনতা,সম্ভ্রম হারানো মা-বোন সর্বোপরি বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক  মানুষের  প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সবশেষে তিনি সকলকে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও দেশের ভাবমূর্তির উন্নয়নে কাজ করে ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে’পুনরায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

 

এরপর জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

2021-01-11
Download