০৮ আগস্ট ২০২৩:
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে স্টকহোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
দিবসদ্বয় উদযাপন উপলক্ষ্যে ০৫ আগস্ট শনিবার জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে দূতাবাস কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরবর্তীতে ০৮ আগস্ট, মঙ্গলবার বিকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেক সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। পাঠ শেষে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব- এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর দিবসদ্বয় উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। এর পর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর গৌরবময় জীবনের উপর নির্মিত দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে আমন্ত্রিত অতিথিগণ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ত্যাগ ও আদর্শের উপর আলোকপাত করেন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অগ্রদূত এবং স্বাধিকার আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগর। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার পাশে থেকে তিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। একইসাথে বক্তারা বলেন, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ও তারুণ্যের রোল মডেল।
রাষ্ট্রদূত জনাব মেহ্দী হাসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং তাঁদের পরিবারের শহিদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহধর্মিণী ছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে আজীবন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। দেশ ও জাতির জন্য বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগীতা ও বিচক্ষণতার যে উদাহরণ তৈরি করে গেছেন, তা সকলের জন্য অনুকরণীয় এবং এ জন্য জাতি তাঁকে আজ ´বঙ্গমাতা´ উপাধিতে ভূষিত করেছে। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ। শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল দেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে অপরিসীম অবদান রেখেছেন এবং তার প্রদর্শিত পথ, আদর্শ ও দিকনির্দেশনা তরুণদের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
পরিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং তাঁদের পরিবারের শহিদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।