Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 16th August 2023
Press Release

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সাথে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের বিদায়ী সাক্ষাৎ

 

হ্যানয়, ভিয়েতনাম ১৫ আগস্ট ২০২৩:

 

আজ ১৫ আগস্ট ২০২৩ সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব ভু ভান থুওং (His Excellency Mr. Vo Van Thuong)-এঁর সাথে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ এক বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।

 

মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে স্বাগত জানিয়ে ভিয়েতনামে দীর্ঘ ০৬(ছয়) বছর সফলভাবে কূটনৈতিক মিশন শেষ করার জন্য অভিনন্দন জানান এবং সে সাথে এই দীর্ঘ সময়ের কাজ এবং তার অবদানকে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশংসা করেন।

 

ভিয়েতনামের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিবাদন জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন যে, তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবার মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করে নিেেজকে সম্মানিতবোধ করছেন। রাষ্ট্রদূত ভিয়েতনামের আর্থ-সামাজিক ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিবাদন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতিকে জ্ঞাপন করেন। 

 

রাষ্ট্রদূত ভিয়েতনামকে আসিয়ানের (ASEAN) সদস্য হিসেবে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটির নেতৃত ¡স্থানীয় এবং অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে বিনিয়োগ ও অর্থিৈনতক সহযোগীতাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করায় আনন্দিত বোধ করেন। এ বছর বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির বছর এবং এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী গ্রহণ করে যার মধ্যে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ (১৯৭৩-২০২৩) বছর কিছু দূর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।  তিনি আরও বলেন যে, দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরগুলো দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রেখেছে। যেমন-২০১৮ সালে ভিয়েতনামের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ট্রান ডাই কুয়াং (Tran Dai Quang)-এর রাষ্ট্রীয় সফর এবং ২০২৩ সালে  ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব ডু হাং ভিয়েট (H.E. Mr. Do Hunh Viet)-এর সফর।  তিনি ভিয়েতনামের দায়িত্ব সম্পন্ন হওয়ার শেষ পর্যায়ে দৃঢ় আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোড়দার হবে এবং রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষন, পর্যটন, বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশে অনেক বৌদ্ধ নিদর্শন রয়েছে সেহেতু বৌদ্ধ পর্যটন প্রভৃতি খাতে উন্নয়ন হবে।

 

ভিয়েতনামের প্রতি সদয় ও উষ্ণ হৃদয়গ্রাহী মনোভাব এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগীতার আরও সম্ভাবনার দিকে গুরুত্ব প্রদান করায় মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন দক্ষিণ এশিয়ার অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি দেশ যে ভিয়েতনামকে প্রথমদিকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে যা সে সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে ভিয়েতনাম মূল্যায়ন করে।

 

মহামান্য রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম ঐতিহাসিক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক মিল রয়েছে। উভয় দেশ মানবসম্পদে সমৃদ্ধ এবং এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে বিশেষ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অর্জন ও অগ্রগতির বিশেষ প্রশংসা করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শক্তিশালী হয়েছে। বিগত ১০ বছরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজের সফল ০৬ বছরের কর্মকালে এ পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। এখন উভয় দেশ এ বাণিজ্যের পরিমাণ ০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রায় কাজ করে যাচ্ছে । রাষ্ট্রপতি দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে আনন্দিত এবং ভবিষ্যতে সহযোগীতার জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

 

রাষ্ট্রদূত মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে তার সদয় বাক্য এবং বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি অভিবাদন জ্ঞাপন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভিয়েতনামের মহান নেতা প্রেসিডেন্ট হো চি মিনকে স্মরণ করে বলেন যে, উভয় নেতাই দেশ ও জাতির জন্য তাঁদের সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতি গঠন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভিয়েতনামের সাফল্য ও অর্জনকে বাংলাদেশ একটি সাফল্যজনক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন যে, তিনি কেবল তার কাজেই নয়, হৃদয়ে ভিয়েতনামের প্রতি উষ্ণ ধারণা বহন করবেন এবং তিনি যেখানেই কাজ করবেন সেখানেই বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সম্পর্কন্নোয়নে সচেষ্ট থাকবেন। 

 

মহামান্য রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূতের আন্তরিকতা ও উষ্ণ অভিবাদনে মুগ্ধ হয়ে ভিয়েতনামের জনগনের অতিথেয়তা গ্রহণে পুনরায় ভিয়েতনামে আসার আমন্ত্রণ জানান। তিনি এ প্রসঙ্গে ভিয়েতনামের বিখ্যাত কবি চে ল্যান ভিয়েনের একটি বিখ্যাত কবিতা থেকে দুটি বাক্যাংশ রাষ্ট্রদূতের প্রতি নিবেদন করেন, যা নিন্মরুপ ঃ

 

                   ÒKhi ta o, chi la noi dat o

                        Khi ta di, dat da hoa tam hon”

 

যার অর্থ হল- ‘যখন আমি এখানে ছিলাম, তখন আমার বাসভূমি, যখন আমি চলে যাব তখন তা আমার আত্নায় পরিণত হয়’

 

সবশেষে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে মাননীয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আবারও বর্তমান সরকার জয়লাভ করবে এবং বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

 

এ প্রসঙ্গে দৈনিক ভিয়েতনাম নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি লিংক নিম্নে দেওয়া হলো-

https://vietnamnews.vn/politics-laws/1582502/president-suggests-viet-nam-bangladesh-foster-comprehensive-cooperation.html

2023-08-15
Download