হ্যানয়, ভিয়েতনাম ০৫ আগস্ট ২০২৩ঃ
বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনামে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন স্বরুপ দিনের প্রথমভাগে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। দিনের দ্বিতীয়ভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সপরিবারে এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। কৃতজ্ঞচিত্তে আরো স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা সহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে অত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবনদান এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগের কথা। একই সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন তারুন্যের রোল মডেল। দেশের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। পড়াশোনা, সঙ্গীতচর্চা, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙ্গালির সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় স্বাধীনতার পর শেখ কামাল বন্ধুদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যদল ”ঢাকা থিয়েটার” এবং আধুনিক সঙ্গীত সংগঠন ’স্পন্দন শিল্পিগোষ্ঠী”। আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দেশের ক্রীড়াজগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে তাঁর নির্মম হত্যাকান্ডের পর দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে। ক্রীড়ানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, তারুণ্যদীপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের আদর্শে বর্তমান প্রজন্মের তরুনদের অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সংকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বক্তব্য শেষ করেন।
বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রুদূত মিজ সামিনা নাজ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
পরিশেষে হালকা আপ্যায়নে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।