হংকং, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩:
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং-এর কনসাল জেনারেল মিজ্ ইসরাত আরা, হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকারের প্রধান নির্বাহী, মাননীয় জন লী এর সাথে আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতের শুরুতে জন লী তাঁর অফিসে কনসাল জেনারেলকে উষ্ণ অভিবাদন জানান। মিজ্ আরা, প্রধান নির্বাহীকে হংকং এর ৬ষ্ঠ প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত হবার জন্য অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই ২০২২ তারিখে জন লী হংকং এর প্রধান নির্বাহী হিসেবে শপথ নেয়ার পর পরই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করেছিলেন। উক্ত বৈঠকে বাংলাদেশ ও হংকং-এর দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি “এক দেশ, দুই নীতি”-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করা হয়। কনসাল জেনারেল, প্রধান নির্বাহীর কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বিচক্ষন নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “সোনার বাংলা” গড়ার স্বপ্ন পূরনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন -২০৪১ নিয়ে আলোকপাত করেন। কনসাল জেনারেল বঙ্গবন্ধুর ১৯৫২ সালের হংকং সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনী “আমার দেখা নয়া চীন” এ- হংকং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা সুনিপুনভাবে বর্ণনা করেছেন। প্রধান নির্বাহী বইটি সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে জন লী, হংকং-এর সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তাঁর সরকারের উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে হংকং কে পুনরায় বিশ্বের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে কনসাল জেনারেলকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশ ও হংকং এর মধ্যকার ‘পিপল টু পিপল কন্টাক্ট’, সংস্কৃতি বিনিময়, পারস্পরিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, ‘ইনোভেশন ও টেকনোলজি’, ‘হাই কোয়ালিটি ডেভলাপমেন্ট’ ও ‘হাই স্কিল্ড লেবার’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও হংকং একযোগে কাজ করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন
প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশর সাথে ব্যবসা, বনিজ্য সম্প্রসারণ এবং হংকং-এর বিনিয়োগকারীদের অবস্থান তুলে ধরে তাদেরকে সহযোগিতার বিষয়ে অনুরোধ করেন। কনসাল জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, হংকং বাংলাদেশের শীর্ষ ১০টি বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে অবস্থান করছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের অর্থবছরের তুলনায় হংকং থেকে বাংলাদেশে ৫০% এর অধিক বিনিয়োগ হয়েছে, যা হংকং-এর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের প্রতি আস্থার প্রতীক। কনসাল জেনারেল আগামী ১১-১৩ মার্চ ২০২৩ এ বাংলাদেশে অনুষ্টিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩”-এ হংকং সরকারের একজন যথোপযুক্ত প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য প্রধান নির্বাহীকে অনুরোধ জানান। কনসাল জেনারেল বাংলাদেশ ও হংকং-এর মধ্যকার দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও সংরক্ষন বিষয়ক চুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাহীকে অবহিত করেন।
পরিশেষে কনসাল জেনারেল সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য জন লী কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশ ও হংকং-এর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।