Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 27th November 2022
Press Release

সিলেটের কুমারগাঁও-বাধাঘাট-বিমানবন্দর সড়কের চার লেন কাজের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

সিলেট, ২৬ নভেম্বর ২০২২:
 
 
সিলেটের কুমারগাঁও থেকে বাদাঘাট হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজের উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট শহরের তেমুখী পয়েন্টে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে চার লেনের এই সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
 
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চার লেনের এই সড়ক নির্মাণ শেষ হলে সিলেট শহর থেকে এয়ারপোর্টে যাওয়া এবং এয়ারপোর্ট থেকে শহরে আসা সহজ হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সিলেট-ঢাকা ৬ লেন সড়কের কোন কোন জায়গায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ সেটাও শেষ হয়ে যাবে। এদিকে সিলেট-তামাবিল ৪ লেন সড়কের কিছু টেন্ডার হয়ে গেছে। একাজ গুলো হয়ে গেলে আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে পর্যটকদের আসা যাওয়া সুবিধা হবে, আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে সিলেটবাসীর। বিশেষ করে, সুবিদবাজার, আম্বরখানা, চৌকিদিঘী এলাকা রাস্তা দিয়ে সারি সারি ট্রাক যায়, এতে যানজটে মানুষ অনেক কষ্ট করেন। এই সড়কটা হয়ে গেলে সিলেট শহরে আর বড় বড় ট্রাক ঢুকবেনা, বাইপাস দিয়ে চলে যাবে।’
 
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কুমারগাঁও-বাধাঘাট-এয়ারপোর্ট ৪ লেন সড়কের নির্মাণ কাজে প্রায় ৭২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে এবং এখানে অনেকগুলো কালভার্ট হবে যাতে জলাবদ্ধতা না হয়।’ 
 
 
ড. মোমেন আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কল্যাণ চায়। আর সুখবর হলো; আমি ওয়াদা করেছিলাম আমাকে নির্বাচিত করলে আমি এটার জন্য চেষ্টা করবো। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা এই কাজটা শুরু হলো। দুঃখের বিষয় এ কাজ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে কিন্তু আমি চেয়েছিলাম এটা যেন ২০২৩ সালেই শেষ হয়।’ 
 
 
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ওসমানী বিমানবন্দরে যাতায়াতকারীরাও উপকৃত হবেন। বর্তমানে এ বিমানবন্দরটি দুই লেন বিশিষ্ট সংযোগ সড়কের মাধ্যমে সিলেট নগরীর সাথে যুক্ত। কিন্তু বিমানবন্দরটি বিকল্প সংযোগ সড়ক থাকা প্রয়োজন। কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি আপগ্রেডেশন হলে এই উদ্দেশ্য পূরণ হবে।
 
 
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি ‘কুমারগাঁও-বাদাঘাট-বিমানবন্দর সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এ অনুমোদন পায়। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। 
2022-11-26
Download