করাচি, ৩০ মে ২০২৩:
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন করাচি যথাযোগ্য মর্যাদায় ৩০ মে ২০২৩ তারিখে জাতির পিতা পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে এর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী, করাচিতে বসবাসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপ-হাইকমিশনার জনাব এস.এম. মাহবুবুল আলম এর নেতেৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এর পরেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয় এবং অত্র উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন। অতঃপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রথম সচিব জনাব মোঃ আরিফ এলাহী এর সঞ্চালনায় দিবসের উপর একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে উপ-হাইকমিশনার জনাব এস.এম. মাহবুবুল আলম তার বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্যের শুরুতেই উপ-হাইকমিশনার জনাব এস.এম. মাহবুবুল আলম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এছাড়াও তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়” শান্তির এই প্রতিপাদ্যই স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
উপ-হাইকমিশনার জনাব এস.এম. মাহবুবুল আলম আরও উল্লেখ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তির এক অবিস্মরণীয় দূত, শান্তির সপক্ষে আপোসহীন অবস্থান তাকে বিশ্ববাসির কাছেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। শান্তি ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে জুলিও-কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হওয়ায় প্রকৃত অর্থে শান্তির সপক্ষে আপোসহীন অবস্থানেরই স্বীকৃতী। এই স্বীকৃতীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শুধু নিজের জন্যই সম্মান অর্জন করেননি, সেই সঙ্গে তিনি বাঙালি জাতিকেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।
উপ-হাইকমিশনার জনাব এস.এম. মাহবুবুল আলম আরও বলেন, বিশ্ব শান্তি স্থাপনে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে বিশ্ব শান্তি স্থাপনে এবং বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমানে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। মায়ানমারে নিপিড়ীত ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বদরবারে শান্তি ও মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি ইতিমধ্যে বিশ্ব শান্তি স্থাপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সুখ, শান্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।