Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 18th August 2020
Press Release

জাতীয় শোক দিবস-২০২০ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশ-বিদেশের কূটনীতিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভা

ঢাকা, ১৭ আগস্ট ২০২০:

 

‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিরোনামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৫তম মৃত্যু বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী সেল’- এর উদ্যোগে গত ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে একটি ভার্চুয়াল কূটনৈতিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এম. পি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, এম.পি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, এম. পি. এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ ‍বিন সহ ঢাকাস্থ কূটনৈতিক কোরের ডেপুটিডিন, ৮৩ জন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা সমুহের প্রধানগণ সহ মোট ১১১ জন এ ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহন করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারই প্রথমবারের মত বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের সমবর্তী দায়িত্ব প্রাপ্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ ও এ কূটনৈতিক আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন। 

 

এ ভার্চুয়াল সভায় জাতির পিতার মৃত্যুঞ্জয়ী জীবন, অনন্য বৈশ্বিক নেতৃত্ব, রাজনৈতিক দর্শন, বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য তাঁর অবিচল সংগ্রাম, গৃহীত পররাষ্ট্র নীতির আদর্শ, দূরদর্শিতা ও কার্যক্রম সহ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের নৃশংস হত্যা, পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের হাই-কমিশনার/রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা সমুহের প্রধানগণ সহ বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের হাই-কমিশনার/রাষ্ট্রদূতগণ এ স্মরণ সভায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগদান করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের উপর আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।

 

ঢাকাস্থ কূটনৈতিক কোর এর ডিন এর পক্ষে ডেপুটিডিন এবং ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্তে ভিভেনসিওটি. বান্দিল্লো এই বিশেষ সভায় সশরীরে যোগদান করে এই আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্টে নৃশংস ভাবে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক কোর এর পক্ষ হতে শোক জ্ঞাপন করেন। তাঁর বক্তব্যে ছয় বছরের বেশি সময় বাংলাদেশে কাটিয়ে বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু কিভাবে সমার্থক হয়ে উঠেছে এই উপলব্ধি প্রকাশের পাশাপাশি, অনুকরণ যোগ্য এই রাজনৈতিক নক্ষত্রের আদর্শিক দৃঢ়তা, কর্মদক্ষতা ও সফলতার কথা উল্লেখ করা হয়।

 

ভার্চুয়াল এ সভার শুরুতেই অংশগ্রহণকারী সকলে দেশে ও বিদেশে যার যার অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

জাতির পিতা’র অসাম্প্রদায়িক চেতনা, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞা, বিশ্ব নেতৃ বৃন্দের সাথে তাঁর অনন্য সম্পর্ক, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক দর্শন সহ বৈশ্বিক নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য ‘রাজনীতির কবি’ [Poet of Politics] বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত তাঁর দৃঢ় ও অনন্য নেতৃত্ব, পরবর্তীতে দেশ গঠনে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর গৃহীত রাজনৈতিক দর্শন ও কর্মসূচী,  বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতিতে শত্রুতা ত্যাগ করে মিত্রতার নীতি গ্রহণ ও ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এর মধ্যে প্রায় সকল দেশের স্বীকৃতি অর্জন সহ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের সদস্য পদ প্রাপ্তিতে তাঁর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বৈশ্বিক দূরদর্শন বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়।

 

মুজিব শতবর্ষের এইলগ্নে জাতীয় শোক দিবসকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হত্যাকারী, পলাতক খুনিদের যথাযোগ্য বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সহায়তা দানে উপস্থিত সকল কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বঙ্গবন্ধুর পাঁচজন খুনি এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে; এসব খুনিদের অবস্থান নির্ণয় ও দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য সকল বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষত, নৃশংস হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করে জাতির দায় মোচনের ও দাবির কথা উপস্থিত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত গণদের কাছে জোরালো ভাবে তুলে ধরা হয়।

2020-08-17
Download