১৭ এপ্রিল ২০২৩:
আংকারায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। সকালে মান্যবর রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্রথমেই, দূতাবাসের ’বিজয় একাত্তর’ মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও মুজিবনগর সরকার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাণী পাঠ পর্বে, মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মোঃ রাশেদ ইকবাল। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আলোচনা পর্বে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্বের উপর আলোনায় অংশগ্রহন করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মোঃ রাশেদ ইকবাল।
রাষ্ট্রদূত তাঁর সমাপনী বক্তব্যে, বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা শ্রদ্ধারসাথে তুলে ধরেন। তিনি বলেন পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার পিছনে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্ব। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মুজিবনগর সরকার বঙ্গবন্ধুর দেওয়া দিক নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন এবং বহিঃবিশে^র সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করে সময়োপযোগী এবং সাহসী নেতৃত্ব প্রদানের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথকে সুগম করেছিল। বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতা আমরা পেয়েছিলাম, বলেই আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, গর্বিত পরিচয় এবং দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা। রাষ্ট্রদূত, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলদেশের উত্তরোত্তর অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং অচিরেই বাংলাদেশ একটি উন্নত আয়ের রাষ্ট্রে পরিনত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তব্য শেষ করেন।