চেন্নাই, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২:
ভারতস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন, চেন্নাই যথাযোগ্য উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। চেন্নাই-এ অবস্থিত ঐতিহ্যবাহি “Loyola College” এবং বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন যৌথভাবে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ‘Creative Content’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
Visual Communication Department, Loyola College-এর প্রধান Reverend Dr. Iruthayaraj বাংলাদেশের ৫১-তম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ পরিক্রমায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অসামান্য অবদানের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক উন্নয়ন বিশেষতঃ আর্থসামজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
জনাব শেলী সালেহীন, উপ-হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদদের, এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং আত্মত্যাগের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাসদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথাও তিনি স্মরণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি বিকাশমান অর্থনীতি, স্থিতিশীল গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও জনাব সালেহীন তার বক্তব্যে তুলে ধরেন ।
অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল মহান বিজয় দিবসের ওপর “Loyola College”- এ বিশেষ চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন, বিজয়ী প্রতিযোগীদের Creative Content -এর ওপর উপস্থাপনা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়।
উপ-হাই কমিশন প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। জনাব শেলী সালেহীন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ‘মহান বিজয় দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর, দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উঠে আসে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতির বিষয়েও আলোচনায় আলোকপাত করা হয়। বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে মিশনে আয়োজিত কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।"