১০ নভেম্বর ২০২২:
বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্রাসিলিয়াতে ১০ নভেম্বর ২০২২ তারিখ যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ পালিত হয়। উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্বান্ত অনুযায়ী ৪ নভেম্বর তারিখ, জাতীয় সংবিধান দিবস-কে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে পালনের সিদ্বান্ত গৃহীত হয়। মান্যবর রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় জাতীয় সংবিধান দিবস – এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।
সংবিধান প্রণয়ন ও কার্যকরের ৫০ বছর পূর্তিতে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবি সকলের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর ‘ জাতীয় সংবিধান দিবস- ২০২২’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৪ঠা নভেম্বর ১৯৭২ বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন এবং এই দিনকে জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধান একটি অত্যন্ত সুলিখিত এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্বলিত সম্পুর্ণ দলিল যা সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার নিয়ামক। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমাদের সংবিধান আমাদের গর্ব, এর মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। সংবিধানের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশদ আলোকপাত করে যেকোনো পরিস্থিতিতে মহান সংবিধান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দূতাবাসের সামরিক এটাশে কমোডোর সৈয়দ মিসবাহউদ্দিন আহমদ (সি) আলোচনায় অংশ নেন এবং বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস ও বিশেষত্ব তুলে ধরেন।
পরিশেষে সংবিধান প্রণেতাগন, বীর মুক্তিযোদ্ধা , শহীদ বুদ্ধিজীবি , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় ।
এই বিশেষ দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সেক্রেটারি এম্বাসেডর এডুয়ার্ডো সাবওয়া’র সাথে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা জাতীয় সংবিধান দিবস সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য ও বিশেষত্ব বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে সেক্রেটারি সাবওয়া বলেন উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশ এক রোল মডেল। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের বিশেষত্বে অভিভূত হন।