১৮ অক্টোবর ২০২৩ খ্রি.
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস, মস্কো, রাশিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৬০ তম জন্মদিনে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। “শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও রাশিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ থিম সং প্রদর্শন করা হয়। মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা শেখ রাসেলের নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই বিভীষিকাময় রাতে অপার সম্ভাবনাময় প্রাণোচ্ছ্বল শিশু রাসেলের অকাল মৃত্যুতে তাঁরা গভীর শোক প্রকাশ করেন। এছাড়াও সেই কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান “শেখ রাসেল দিবস” এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং বাবার সাথে শিশু রাসেলের শৈশবের বিভিন্ন স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দেশের বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোররাও শেখ রাসেলের মতো আত্মবিশ্বাস, সাহস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে শিশু-কিশোর ও তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার প্রতি তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে শিশু রাসেলের জীবনের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং জন্মদিন উদযাপনে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটা হয়। পরিশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদৎবরণকারী শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।