১০ জানুয়ারী, ২০২৩:
ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে ।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং ১৫ আগষ্টের নির্মম হত্যাকান্ডে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে উপজীব্য করে নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্য স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রেখেই বঙ্গবন্ধু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে। আমার সোনার বাংলা আজ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র”। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারী পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে পদার্পন করেই কমনওয়েলথ-এর সদস্যপদ প্রাপ্তির উদ্যোগ গ্রহণ করার ঘটনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ কূটনীতিক হিসেবে অভিহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জেনে তার প্রচারে উদ্বুদ্ধ করেন এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত বাঙালী একটি গর্বিত জাতি। রাষ্ট্রদূত ব্যতীত দূতাবাসের সামরিক এটাশে কমোডোর সৈয়দ মিসবাহউদ্দিন আহমদ (সি) আলোচনা পর্বে অংশ নেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং ১৫ আগষ্টের হত্যাকান্ডে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে আয়োজন সমাপ্ত হয়।