হ্যানয়, ভিয়েতনাম ১৭ই মার্চ ২০২৩ঃ
‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’-প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনামে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে জাতীয় সংগীত সহকারে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা সভা, ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী এবং বাংলাদেশী ও ভিয়েতনামী শিশু-কিশোরদের এক বিশেষ আর্ট ক্যাম্প-এর আয়োজন করা হয় ।
দিবসটি ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মিজ চিং থি টাম সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, প্রবাসী বাংলাদেশী, ভিয়েতনামী গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দূতাবাসে উদ্যাপন করা হয়
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন। দিবসটি স্মরণে আয়োজিত আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা-সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তাঁর পূর্ববর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমগ্র জাতি এক সূত্রে গ্রোথিত হয়েছিল এবং যার ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির নন-তিনি বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে তিনি সকল শিশু-কিশোরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ শিশুদের মাঝে উদীপ্ত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেমের কাছে তাঁর ’সোনার বাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়নের বার্তা পৌঁছানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। জাতীয় শিশু দিবসে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মহান নেতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণে শিশুদের যথাযোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপন পূরণে সকল বাংলাদেশী অবদান রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস স্মরণে বাংলাদেশী ও ভিয়েতনামী শিশুদের নিয়ে এক বিশেষ আর্ট ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়। আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে রাষ্ট্রদূত পুরষ্কার বিতরণ করেন এবং কেক কেটে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
পরিশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় ।