Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 27th August 2019
Press Release

পৃথিবীর মধ্যে যে দু’টি দেশের দারিদ্র সবচেয়ে বেশী কমেছে তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬.০৮.২০১৯:


পৃথিবীর মধ্যে যে দু’টি দেশের দারিদ্র সবচেয়ে বেশী কমেছে তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে আমাদের দারিদ্র অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।  শেখ হাসিনার সরকার আগামী ৫ বছরে অতি দারিদ্র শতকরা ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন আজ ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবচেয়ে বেশী জোর দিয়েছিলেন কৃষি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে। তিনি কৃষি বিপ্লবের জন্য ২৫ বিঘা জমি পর্যন্ত খাজনা মাপ করে দেন। কৃষি বিপ্লব যখন সফলতার দোর গোড়ায় পৌঁছে যায় তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধু আদর্শ ও চেতনাকে হত্যা করতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংস্বম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। 
তিনি বলেন,  বঙ্গবন্ধুর কন্যা তাঁর পথ ধরেই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্রসর হচ্ছেন। তাই বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতি। এবছর এশিয়ার ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশী। 
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সাধারণ ও দরিদ্র মানুষকে খুবই ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছিটে ফোটাও যদি আমরা আমাদের জীবনে অর্জন করতে পারি তবে আমরা ধন্য হবো।  তিনি আরো বলেন, জাতির জনক সোনার মানুষ চেয়েছেন, আমাদের সোনার মানুষ হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। 
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি ২৬ হাজার স্কুলকে সরকারি করেন। বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ লক্ষ ২৬ হাজার স্কুলকে সরকারি করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে আমরা অল্প দিনের মধ্যে জাতিসংঘসহ অধিকাংশ সংস্থা ও দেশের স্বীকৃত লাভ করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি -‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রতা নয়’ আমরা এখনও অনুসরণ করে চলেছি। 
 বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহিদুল্লাহ বক্তৃতা করেন।

2019-08-26
Download