নাইরোবিঃ ১৭ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশ হাই কমিশন, নাইরোবি আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৩তম জন্মবর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ মর্যাদায় সকাল ও সন্ধ্যায় নানা বরণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে। সকালে হাই কমিশনার  তারেক মোহাম্মদ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারির উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ এর উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার পর সকালের অধিবেশনের সমাপ্তি হয়।

বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামান্য চিত্রসমূহ প্রদর্শণের মধ্য দিয়ে বিকাল ১৮০০ ঘটিকায় সান্ধ্য অধিবেশনের শুরু হয়। এ সময় শিশু কিশোরদের চিত্রাংকণ ও বর্ণমালা লিখন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়া শিশুদের বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখা হয়। শিশুদের সঞ্চালনা ও পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৃত্তি, গল্প এবং বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের উপর কুইজে অংশগ্রহণ করে শিশুরা অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এছাড়া বাঙ্গালী রূপকথার উপর নির্মীত একটি পাপেট শো ছিল শিশুদের প্রধান আকর্ষণ।ব্যাপক উদ্দীপনার মাধ্যমে হাই কমিশনার সকল শিশুদেরকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন। অংশগ্রহণকারী সকল শিশুদের হাইকমিশনের পক্ষ হতে পুরস্কৃত করা হয়। দূতাবাসের আমন্ত্রণে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে আজ থেকে ১০৩ বছর পূর্বে ১৯২০ সালের আজকের এ দিনে জন্মনেওয়া শিশু মুজিব এর শৈশব, কৈশর ও রাজনৈতিক জীবন সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্ভীক দয়ালু ও পরোপকারী। বঙ্গবন্ধু এক কিংবদন্তীর নাম। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পেয়েছিল একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। তিনি বিশ্বাস করতেন শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ এবং রাষ্ট্রগঠনের কারিগর। তাই তিনি ১৯৭৪ সালে শিশু সংরক্ষণ আইন প্রনয়ন করেছিলেন। হাই কমিশনার জাতীয় শিশু দিবস এর প্রতিপাদ্য ”স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙ্গিন” এই নীতির আলোকে শিশুদের গড়ে তোলার জন্য সকলের নিকট উদ্বাত্ত আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গঠনে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ অর্জনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

পরিশেষে উপস্থিত সকলের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।