Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 9th August 2022
Press Release

হংকং-এ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

 

হংকং,  ০৮ আগস্ট ২০২২ঃ

 

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ কন্‌স্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক আজ ০৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে কন্‌স্যুলেট প্রাঙ্গনে উদ্‌যাপন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে কন্‌স্যুলেটর হলরুম পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হয়। মান্যবর কনসাল জেনারেল মহোদয় সহ কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, হংকং শাখার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব হংকং এর নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ভাইস কনসাল জনাব মোঃ মারজুক ইসলাম। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে মান্যবর কনসাল জেনারেল, মিজ্‌ ইসরাত আরা, কন্‌স্যুলেট এর পক্ষ থেকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত করা হয়। পরবর্তিতে বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করেন কন্‌স্যুলেটের কর্মকর্তাগন। এরপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তিতে অতিথিবৃন্দ বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান, বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদেরকে দিক-নির্দেশনা প্রদানে তাঁর অসামান্য অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

 

মান্যবর কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিনীই শুধু ছিলেন না, তিনি বাঙ্গালির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের নেপত্থ্যের কারিগর হিসেবে প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি আন্দোলনে, প্রতিটি সংকটময় মূহুর্তে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। স্বাধীনতার পর তিনি বঙ্গবন্ধুকে দেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতার পাশাপাশি বীরাঙ্গনাদের সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন জীবনদানে রেখেছেন অপরিসীম ভূমিকা। তিনি বলেন বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তার জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে।

 

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শহীদ অন্যান্য সদস্যবৃন্দের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আগত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। 

2022-08-08
Download