Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 19th October 2022
Press Release

বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা কর্তৃক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপিত

 

১৮ অক্টোবর ২০২২/আংকারা ঃ

 

তুরস্কের আংকারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে “শেখ রাসেল দিবস” উদ্যাপন করে। এ দিন সকাল থেকেই দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত শাহ্নাজ গাজী দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে তুরস্কের আঙ্কারাস্থ রাশিত গালিব স্কুলের “শেখ রাসেল কক্ষে” ছোট ছোট শিশুদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। আতাতুর্ক এতিম শিশু সহায়তা কেন্দ্রে পরিবার-বিছিন্ন ৬০টি কন্যা শিশু ও কিশোরীদের উপহারসামগ্রী প্রদান করেন। এরপর তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট এর মাধ্যমে ৭০টি শরনার্থী পরিবারের মধ্যে খাদ্য ও উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

 

বিকালে দূতাবাসের ”বিজয় একাত্তর মিলনায়তন”-এ কর্মকর্তা/কর্মচারী, তাঁদের পরিবারবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশী ও তুর্কী ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াত এবং শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত  এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত শাহ্নাজ গাজী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাশেদ ইকবাল। বাণী পাঠের পর মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত শেখ রাসেল-এর  স্মৃতি বিজড়িত একটি  তথ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। অত:পর বিশেষ চলচিত্র “Hasina: A Daughter's Tale” প্রদর্শিত হয়।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দের মধ্যে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে শেখ রাসেল-এর জন্মদিনের প্রতিপাদ্য বিষয় “শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক”  উল্লেখ করে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিরাপরাধ ও নিষ্পাপ বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শিশু রাসেলের হত্যা জাতীয় জীবনের একটি অনাকাঙ্খিত নির্মম ঘটনা। জাতি এ বেদনাদায়ক ঘটনায় আজও অনুতপ্ত  এবং জাতীয় পর্যায়ে “শেখ রাসেল দিবস” উদযাপন একটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল শিশুর জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে পারলেই শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে। 

 

দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে শিশুদের অংশগ্রহনে “বাংলাদেশের প্রকৃতি” অথবা “বাংলাদেশের শিশু”-এ বিষয়বস্তুর উপর চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী শিশুদের আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

সবশেষে, শেখ রাসেল-এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটা হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।

2022-10-18
Download