০৫ আগষ্ট ২০২২/আংকারা ঃ
আজ তুরস্কের আংকারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মান্যবর রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান এনডিসি কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দূতাবাসে অবস্থিত শেখ রাসেল শিশু কর্নারে ছোট্ট শিশুদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অতঃপর দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পরিবারবর্গ ও প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান, এনডিসি ফিতা কেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ক্রীড়া কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন।
শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দূতাবাসের বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান। এর পরপরই শেখ কামালের কর্মময় জীবনের উপর নির্মিত দু’টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা প্রকাশ এবং সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র শেখ কামালের বহুমুখী প্রতিভার কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শেখ কামালের গৌরবময় ভ‚মিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, শেখ কামাল ছিলেন একজন চৌকস ক্রীড়াবিদ, সংগঠক, সংগীত, নাটকসহ সব ধরণের সাংস্কৃতিক জগতে স্বাচ্ছন্দে বিচরণকারী একজন মহান যুবনেতা। এছাড়া তিনি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শেখ কামালের অংশগ্রহনের বিষয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা পর্বের শেষে মান্যবর রাষ্ট্রদূত কর্তৃক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী শিশুদের মধ্যে উপহার প্রদান করা হয়।
পরিশেষে, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সকলকে আপ্যায়নের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।