Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 28th May 2023
Press Release

ভিয়েতনাম মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার” প্রাপ্তির সূবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন

 

হ্যানয়, ভিয়েতনাম ২৬ মে ২০২৩ঃ

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরার প্রয়াসে বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনাম ২৬ মে ২০২৩ ইং তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে। ভিয়েতনামী অতিথি, ভিয়েতনামের প্রবাসী বাংলাদেশী, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দূতাবাসে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রার্থনা, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত সঙ্গীত ও ডকুমেন্টারী প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।

 

দিবসটি স্মরণ করে আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ সমবেত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য্য এবং বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। এই দিন নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল আদর্শকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানকে তুলে ধরার জন্য তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যরি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতি বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রারাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে, শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভ‚ষিত করে আসছে। বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। এ মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে। 

 

রাষ্ট্রদূত বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির নন-তিনি বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত  মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তাঁর ’সোনার বাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়নের বার্তা পৌঁছানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। স্বাধীন সাবভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ “সোনার বাংলা”-য় রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গত ১৪ বছরের অভ‚তপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

 

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী বি.এম.আতিকুজ্জামান বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বিশেষ বক্তব্য রাখেন এবং “শোন একটি মুজিবরের থেকে........” সঙ্গীতটি পরিবেশন করেন।

 

অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বাংলাদেশী রসনা স্বাদে সান্ধ্য ভোজে আপ্যায়িত করা হয়।

2023-05-26
Download