২৫ জুন ২০২২:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বাংলাদেশের সামর্থ্য ও স্বনির্ভরতার প্রতীক এবং এদেশের ইতিহাসের অন্যতম মাইলফলক মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, মস্কো একটি আলোচনা সভা আয়োজন করে। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব কামরুল আহসান এর সভাপতিত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

কর্মসূচীর শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটির উপর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। অতঃপর পদ্মাসেতুর নির্মাণ ও এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানসহ এক্ষেত্রে উদ্ভুত সকল চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উপরে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনাসভা পর্বে বক্তারা পদ্মাসেতুকে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সার্বিক অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তাদের আলোচনায় এই প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়নে উদ্ভুত নানাবিধ কারিগরী, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের কথা উঠে আসে এবং তা দূরীকরণে গৃহীত নানা পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তাগণ অদূর ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ সামাজিক নানা ক্ষেত্রে সেতুটির সার্বিক ইতিবাচক প্রভাবের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই রাষ্ট্রদূত জনাব কামরুল আহসান প্রকল্পের মূল স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ প্রশংসাপূর্বক বলেন যে, নেতৃত্বের দৃঢ়তা ও সাহসিকতা ব্যতিত এমন প্রকল্প হাতে নেয়া বা নিজেদের অর্থে বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত দূর্ল্যঙ্ঘ অভিলাষ যা হাজারো বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করে দেখিয়েছেন তিনি। এমন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন যে বাংলাদেশের যোগাযোগ, বাণিজ্য, অর্থনীতি, শিল্পায়ন, সমাজ, সংস্কৃতি ও সার্বিক জীবনযাপনে অভূতপুর্ব বিপ্লব সাধন করবে তা নিঃসন্দেহে বিশ্বদরবারেবাংলাদেশের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকে বাংলাদেশের কারিগরী দক্ষতা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতার এক মূর্ত প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।

এরপর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত ভাষণ ও সেতু উদ্বোধন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

সবশেষে আলোচনা সভায় উপস্থিত ও অংশগ্রহণকারী সকলকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।