১৭ মার্চ ২০২৩:
প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রিটোরিয়ায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে সমবেত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছেন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার ভাষ্কর্যে পুস্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মান্যবর হাই কমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান। উপস্থিত দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগ এর নেতা-কর্মীগণও বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। বাণী পাঠের পর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রবাসী বাংলাদেশীগণ শিশু-কিশোরদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা এবং বাঙালী জাতির স্বাধীকার আন্দোলনে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে বঙ্গবন্ধুর মহান অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
মান্যবর হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে সহপাঠিদের কল্যাণে জাতির পিতার শৈশব ও কৈশোরের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেন। বাঙালী জাতির স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা অর্জনের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আত্মনিবেদনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন যে শৈশব আর কৈশোর স্বপ্ন দেখার সময় - আর যৌবনকাল সে স্বপ্ন পূরণের সময়। বঙ্গবন্ধু শৈশবে স্বপ্ন দেখেছেন শোষণ-বঞ্চণাহীন এক সোনার বাংলার। তিনি তাঁর জীবন আর যৌবন উৎসর্গ করেছেন সে স্বপ্ন অর্জন-বাস্তবায়নের জন্য। মান্যবর হাইকমিশনার বলেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন লিপ্ত আছি স্মার্ট এক স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণের জন্য। তিনি বলেন যে আমাদের শিশু - যাদের জন্য আজ আমরা পালন করছি জাতীয় শিশু দিবস - তাদের চিন্তা-চেতনা, তাদের কর্ম তৎপরতায় একদিন গড়ে উঠবে স্মার্ট এক স্বপ্নের সোনার বাংলা। আজ এ হোক আমাদের সম্মিলিত স্বপ্ন - সবার কাছে তিনি সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত শিশু-কিশোররা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে এবং তাদের পুরষ্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশীদের সাথে নিয়ে মান্যবর হাইকমিশনার জন্মদিনের কেক কাটেন এবং জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।