০২ নভেম্বর ২০২২:
মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে ০২ নভেম্বর ২০২২ তারিখে দূতাবাসে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশী অতিথীবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়৷ অতঃপর শহিদ শেখ রাসেল এর জীবনের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র ‘একটি স্বপ্নের নাম শেখ রাসেল’ প্রদর্শন করা হয়।
মূল আলোচনা সভায় বক্তারা শহিদ শেখ রাসেলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন যে আন্দোলন সংগ্রামে সদাসর্বদা নিয়োজিত মহৎপ্রাণ পিতার স্নেহ বঞ্চিত হয়েও জাতির জনকের কনিষ্ঠ পুত্র একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ঘাতকগোষ্ঠী তাঁর মত একজন নিষ্পাপ শিশুকেও নির্মমতা থেকে রেহাই দেয় নাই। মা-বাবার কাছে যাবার ক্রন্দনসিক্ত আকুতি উপেক্ষা করে অবুঝ শেখ রাসেলকে নৃশংসভাবে হত্যা করে যে বর্বরতার পরিচয় কাপুরুষ ঘাতকরা দিয়েছে তা মানব ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। বক্তারা শহিদ শেখ রাসেলের শৈশব ও বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে অপার স্নেহ মমতায় কাটানো দুর্লভ কিছু সময়ের স্মৃতিচারণ করে তাঁরসহ পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎবরণকারী সকল সদস্যের চিরশান্তি কামনা করেন।
এরপর সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান শহিদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি যাথাযথ সম্মান দেখিয়ে তাঁর উপর কিছু স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন যে, পরিবারের সকলের নয়নের মণি শেখ রাসেলের মধ্যেও বিকশিত হচ্ছিল তাঁর মহৎপ্রাণ পিতা-মাতার মানবিক বৈশিষ্ট্যসমূহ যা আজকের দিনের সকল শিশু কিশোরের সামনে এক জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত হিসেবে চিরভাস্মর হয়ে থাকবে। তিনি এখনো জীবিত থাকলে আমরা হয়তো আরও একজন সুযোগ্য নেতা পেতাম। পরিশেষে রাষ্ট্রদূত শহিদ শেখ রাসেলের স্বল্পায়ু কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ জীবনের বিভিন্ন দিকের প্রতি আলোকপাত করে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাঁর ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে নিয়ে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও উপস্থিত সুধীবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষিত হয়।