Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 17th August 2022
Press Release

সুইডেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন

 

সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২:

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২২ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় সুইডেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পালিত হয়েছে । দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, জাতির পিতা ও তাঁর  পরিবারের শহিদ সদস্যবর্গের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, তাঁর জীবন, আদর্শ ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন। এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারবর্গ এবং কমিউনিটি সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

দিনের শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। বিকাল ০৫টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথমে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত জনাব মেহ্‌দী হাসান-এর নেতৃত্বে উপস্থিত সুধীবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর জাতির পিতার গৌরবোজ্জ্বল কর্মময় জীবনের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

 

এরপর উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উপস্থিত কমিউনিটি সদস্যবৃন্দ তাঁদের আলোচনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী নেতৃত্ব এবং অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন । তাঁরা বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাঙালি জাতির স্বাধীনতার রূপকার। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই তাঁকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ জাতির অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। বক্তাগণ আরো বলেন, ঘাতকরা ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে হত্যা করতে সমর্থ হয় নি। বক্তারা ১৫ই আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার প্রয়াস ব্যক্ত করেন।  

 

রাষ্ট্রদূত জনাব জনাব মেহ্‌দী হাসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন । তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তারই সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি উন্নত- সমৃদ্ধ দেশ হবার পথে  এগিয়ে চলেছে। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার আত্মত্যাগের মহিমা ও আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

2022-08-15
Download