করাচি, ১৭ আগষ্ট ২০২৩:
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন করাচি ১৫-১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখ তিনদিন ব্যাপি “বাংলাদেশ ও জাতির পিতা” শীর্ষক স্থির আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখ দুপুর ১৩০০ ঘটিকায় দূতালয় প্রাঙ্গণে উক্ত স্থির আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। মিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম।
স্থির আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ১১০টির অধিক আলোকচিত্র স্থান পায়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৪৬ থেকে ১৯৭৫ সময়কাল পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক মহামূল্যবান আলোকচিত্র প্রদর্শনে রাখা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাস, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ তথা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ স্থির চিত্রে জীবন্ত হয়ে ওঠে। করাচিতে বাংলাদেশ মিশন কর্তৃক ১৫-১৭ আগস্ট ২০২৩ তারিখে আয়োজিত স্থির আলোক চিত্র প্রদর্শনী ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সমাজকরর্মী, নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সহ সকল শ্রেণীর প্রায় পাঁচ শতাধিক অতিথি পরিদর্শন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থিরচিত্র নির্ভর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করতে পেরে তাঁরা গর্বিত ও সম্মানিত বলে মন্তব্য করেন।
করচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীকারের প্রশ্নে ছিলেন আপোসহীন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়িয়েও তিনি বাংলার, বাঙালি জাতির ও বাংলার মানুষের জয়গান করেছেন। বাঙালির ও বাংলার মাটির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অকৃত্রিম আবেগ, ভালোবাসা ও সুমহান স্বপ্ন। আজীবন বঙ্গবন্ধু সাম্য, মৈত্রী, গণতন্ত্রসহ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত, নির্যাতিত মানুষের অফুরন্ত অনুপ্রেরণা ও সুগভীর দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক।
উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম বলেন, আগামী ১৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালনের সাথে সাথে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন করাচি কর্তৃক আয়োজিত “বাংলাদেশ ও জাতির পিতা”শীর্ষক স্থির আলোকচিত্র প্রদর্শনী জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ। উক্ত প্রদর্শনী আগত দর্শনার্থীকে বাংলাদেশ ও জাতির পিতার উজ্জ্বল ও বিরল ইতিহাস জানার সুযোগ করে দিবে তেমনি সবাইকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে সুগভীর দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে, মা-মাটি-মানুষকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে শেখাবে।