১৭ মার্চ ২০২৩:
মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে ১২ই মার্চ দূতাবাসে একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যেখানে বিভিন্ন বয়সী শিশুরা ও কিশোর-কিশোরীরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাশিয়ায় অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রবন্ধ রচনা আহবান করা হয়।
১৭ তারিখের মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে দিনের প্রথম প্রহরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব কামরুল আহসানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং পরে একটি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যার কর্মসূচীর শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে শোনানো হয়। অতঃপর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ মিলনায়তনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর আমন্ত্রিত অতিথীবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। অতঃপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়৷ বাণী পাঠ শেষে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ এর উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর চিত্রাঙ্কন ও প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদেরকে পুরষ্কার ও সনদ প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত।
মূল আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ও পরবর্তীতে সদ্য স্বাধীন দেশকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্গঠনে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আলোচকবৃন্দ বর্তমান অস্থিতিশীল বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর শান্তিকামী পররাষ্ট্র নীতির তাৎপর্য বিধৃত করেন।
এরপর সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাকে ঘিরে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন এবং শিশুদের সুস্থ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পিত কার্যক্রমকে তুলে ধরে তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন। তিনি ইতিহাসের এই মহানায়কের সংগ্রামী জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার কাজে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
পরিশেষে জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু ও কিশোর-কিশোরীবৃন্দ ও অতিথীদের নিয়ে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও উপস্থিত সুধীবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষিত হয়।