ঢাকা, ১৭.০৩.২০১৯:
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করেই বাংলাদেশ পৃথিবীতে শান্তির সংস্কৃতি সৃষ্টি করবে এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন।
নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সহনশীল মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে হামলার কারণ হলো পারস্পরিক হিংসা ও বিদ্বেষ। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেমিনার, ওয়ার্কশপসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে বঙ্গবন্ধু ও ইতিহাস সম্বন্ধে সকলে জানতে পারবে এবং আমরা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নিজেদের উন্নত করতে পারব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রবাসী ও গুণী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং এ ক্ষেত্রে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া তিনি বলেন, প্রবাসীদের হয়রানি ও লাগেজ চুরি বন্ধে বাংলাদেশের বিমান বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিং করা হবে ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে বিদেশীদের জানানো ও তাদের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য রাষ্ট্রীয় অীতথি ভবন সুগন্ধায় গণহত্যার ছবি সম্বলিত একটি রুম স্থাপনের চিন্তা করছে সরকার।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি বক্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে দিয়েছিলেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর পরিচয়ে বাংলাদেশকে সারা বিশ্ব চিনবে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সভাপতি ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম আতিকুর রহমান। বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন, শহিদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী ও ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম হাসিব।