মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে পালিত কর্মসূচীর প্রথম পর্বে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে দিনের প্রথম প্রহরে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব কামরুল আহসানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে একটি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

 

 

কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্বে ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। 

 

 

মূল আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আমন্ত্রিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বিজয়ের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগকারী বীরাঙ্গনাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তাঁরা অর্জিত এই বিজয়কে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

 

আলোচনা সভার সভাপতি রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত জনাব কামরুল আহসান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা ইতিহাস বিধৃত করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় সংগ্রামে অর্জিত এই স্বাধীনতার ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ পুনর্গঠনে সোভিয়েত ইউনিয়নের বহুমুখী সহযোগিতার কথা তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুতনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি উন্নয়নের এই মহাযাত্রায় শরিক হয়ে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রেখে বিশ্ব মানচিত্রে প্রিয় মাতৃভূমির নাম আরও সম্মানজন অবস্থানে অধিষ্ঠিত করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

 

 

পরিশেষে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষিত হয়