বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ব্রাজিলের বাণিজ্যিক রাজধানী সাঁও পাওলোতে অনুষ্ঠিত হলো দুদিনব্যাপী (৩ ও ৪ অক্টোবর ২০১৮) ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা। ব্রাজিলে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস এই প্রথমবারের মত রাজধানী ব্রাসিলিয়া হতে ১২০০ কিলোমিটার দূরে বাণিজ্যিক নগরী সাঁও পাওলোতে এই আয়োজন করে। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর সক্রিয় অংশগ্রহন এই মেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করে। স্থানীয় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুদিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলা ও কনস্যুলার ক্যাম্পে বহু প্রবাসী বাংলাদেশী, সাঁও পাওলো চেম্বারের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় ব্রাজিলিয়ানরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মেলার পুরো কেন্দ্র বিভিন্ন রঙিন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প, পর্যটন কেন্দ্র ও বাংলার অপরূপ দৃশ্য সংবলিত ছবি দিয়ে সাজানো হয়। মেলা প্রাঙ্গনে জাতির জনক, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতিও প্রদর্শন করা হয়।মেলার অংশ হিসেবে বাংলাদেশী পণ্য ও কারুশিল্প দিয়ে কয়েকটি ষ্টল সাজানো হয়।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বর্তমান সরকারের সাফল্যগাঁথা দিয়ে সাজানো ৪৫ মিনিট দীর্ঘ একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর মূল পর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অর্জন নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ পর্বে মান্যবর রাষ্ট্রদূত সরকারের অর্জন, এ অর্জনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দীর্ঘ উপস্থাপনা ও বক্তব্য প্রদান করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের সফলতার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন যাত্রায় ১০ টি বিশেষ উদ্যোগের ভূমিকার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে যে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বিশেষতঃ প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য সেবার মান বৃদ্ধি, কনস্যুলার সেবা প্রবাসীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সাঁও পাওলোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনে তাঁর উদ্যোগের বিষয়ে উপস্থিত বাংলাদেশীদেরকে অবহিত করেন। তিনি সাঁও পাওলোতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে তাঁর পরিকল্পনার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রবাসী বাংলাদেশীরা রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগসমূহের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবাসীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানের আরেকটি অন্যতম আকর্ষণ ছিল “অপরূপ বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশী শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ।
অনুষ্ঠানশেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।
মেলার পাশাপাশি ৩ ও ৪ অক্টোবর ২০১৮ দু’দিনই প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়।