সিট্যুয়ে, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩:
সিট্যুয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় সিট্যুয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত SS Food Centre, Riverside, Sittwe -এ এক জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ও অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যেও আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রীসহ রাখাইন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, ভারতীয় কনস্যুলেটের কূটনীতিকবৃন্দ, রাখাইন স্টেটের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের সদস্যগণ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাখাইন স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, ব্যাবসায়ীবৃন্দসহ রাখাইনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মিশন প্রধান জাকির আহমেদ ও রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী উ থেন লিন অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বাংলাদেশ কর্ণারে প্রদর্শিত দেশীয় বিভিন্ন হস্তশিল্প পরিদর্শন করেন। এরপর, উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মিশনপ্রধানের বক্তব্যে রাখেন। এরপর কেক কেটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়।
মিশন প্রধান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের সফলতা ও উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন। এছাড়া, রাখাইনে কনস্যুলেটের কর্তৃক বিভিন্ন সময় আয়োজিত সামাজিক, জনকল্যাণ ও গঠনমূলক কর্মকান্ড বিষয়ে অবহিত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে, একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাখাইন শিল্পীগন, রাখাইন, বার্মিজ ও বাংলাদেশী নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া, কনস্যুলেটের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় শিল্পী ও মডেলদের নিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও জামদানী শাড়ীর ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করা হয়। সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের নৈশভোজের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি রমজানের পর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে রাখাইনে অবস্থানরত রাজ্য সরকারের সকল মন্ত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।