জাকার্তা, ০৭ মার্চ ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস, জাকার্তা যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ০৭ মার্চ-২০২৩’ উদযাপন করেছে। সকালে দূতাবাস ভবনে মান্যবর রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি মহোদয় কর্তৃক দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
পবিত্র কোরআন হতে তেলায়াত ও তর্জমা-এর মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। পরবর্তিতে স্বাধীনতার মহান স্থাপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ০৭ মার্চ এর উপর নির্মিত প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত সকলের জন্য উন্মুক্ত রচনা প্রতিযোগিতা ও শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখ শহিদ, দু’লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন এবং অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে-যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চর ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল বাংলাদেশের নয় বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস। রাষ্ট্রদূত মহোদয় তার বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। মহান এ নেতার সে স্বপ্ন পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং এ লক্ষ্যে ঘোষণা করেছেন ‘রূপকল্প-২০৪১’। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, জাতীয় চার নেতাসহ দেশ ও দেশের কল্যানে জীবন উৎসর্গকারী সকল মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। সবশেষে উপস্থিত সকলের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।