১২ ডিসেম্বর ২০২৩:
১১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ বাংলাদেশ দূতাবাস আংকারায় ‘ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব আলী রেজা সিদ্দিকী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিসেস সেলিনা বানু। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা থেকে আগত কর্মকর্তাবৃন্দ ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কারিগরী দল উপস্থিত ছিলেন। ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মাধ্যমে আগত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতার আরেকটি মাইলফলক। বাংলাদেশ এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান অতিথি ও আগত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত বাংলাদেশীদের সম্যক ধারণা প্রদান করেন।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন যে, আজ তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশীদের জন্য একটি আনন্দের ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের যে ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ন করেন তার বাস্তবায়ন এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় চালু হলো ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। জাতির পিতার নির্দেশিত পথে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিশ্বমানের পরিসেবার প্রাপ্যতা বাংলাদেশীদের জন্য নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসী সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সভাপতি/মান্যবর রাষ্ট্রদূত এবং অতিথিবৃন্দ কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ফলে তুরস্কে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।