হংকং, ১৭ মার্চ ২০২৩:
আজ ১৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক কন্স্যুলেট প্রাঙ্গনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদ্যাপন করা হয়। দিবসের শুরুতে কনসাল জেনারেল মিজ্ ইসরাত আরা কন্স্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কনস্যুলেটের কনসাল, জনাব মো: কামরুল হাসান। অনুষ্ঠানে হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, হংকং শাখার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব হংকং এর নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, হংকং-এর সদস্যবৃন্দ এবং শিশু-কিশোররা উপস্থিত ছিলেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এঁর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
মান্যবর কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর অসামান্য অবদান স্মরণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঞ্চনা ও নির্যাতন থেকে বাঙ্গালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন যে, এ মহান নেতার জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে আমাদের শিশু কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে চিনবে, তাঁর জীবনকথা জানবে এবং সে সঙ্গে তারা পরিচিত হবে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, জাতীয় শিশু দিবসে এই প্রত্যাশার মাধ্যমে এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের প্রত্যেককে সার্টিফিকেট এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারসহ ফুলের গাছ বিতরন প্রদান করা হয়। এরপর ছোট শিশু নূরহান রহমানের উপস্থাপনায় ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত সবাইকে নিয়ে কনসাল জেনারেল কেক কাটেন।
আগত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।