ক্যানবেরা, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, রোজ রবিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরায় মহান বিজয় দিবস- ২০১৮ যথাযথ মর্যাদা এবং আনন্দ- উদ্দীপনার মাধ্যমে পালন করা হয়।
সকাল ৭:০০ ঘটিকায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার জনাব মোঃ সুফিউর রহমান ও হাইকমিশনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের উপস্থিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ এবং বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সকালের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকার সময় মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সুফিউর রহমান তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ‘৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘ ৬৬ ছয় দফা, ‘৬৯ গণঅভ্যুত্থান, এবং ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্য ভাবে অবদান রেখেছেন তাদের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি বিনম্রচিত্রে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন যে, বঙ্গবন্ধু বাংলার স্বাধীকার আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দিয়ে তা অর্জনে নেতৃত্ব দেন এবং তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, বিশেষতঃ গতএক দশকে চলমান মুক্তির সংগ্রামে প্রভূত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে যা ভারত উপমহাদেশের মধ্যে অন্যতম এবং বহিঃবিশ্বে স্বীকৃত হচ্ছে। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সফল করতে সকল শ্রেনীর মানুষ ও গোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের সচেষ্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন।
এরপর শিশু কিশোর ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ক্যানবেরাস্থ সাংস্কৃতিক সংগঠন বাক্যকথন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কবিতা আবৃত্তি করে। এরপর বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের অংশগহ্রনে একাত্তরের চিঠি পাঠ ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। প্রায় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী উক্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।