সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০২০:
আজ ২৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে – দৈনিক কালের কন্ঠে প্রকাশিত ‘প্রধানমন্ত্রীকে পাশ কাটিয়ে সুদানে মিশন প্রধান নিয়োগ’ শীর্ষক একটি সংবাদের প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে সুদান ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে উভয় দেশের উচ্চতর পর্যায়ের বৈঠক সমূহে একে অন্যের রাজধানীতে আবাসিক মিশন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়। তাছাড়া সুদানে জাতিসংঘ মিশনে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করে আসছে। এসব বিবেচনায় ২০০৯ সালে সুদানের খার্তুমে বাংলাদেশের আবাসিক দূতাবাস স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং পরবর্তীতে সকল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা হয়।
কোভিড-১৯ এরকারণে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশ হতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী শ্রমিকের প্রত্যাবাসনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশে – বিশেষত আফ্রিকায় – নতুন শ্রম বাজার সন্ধানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।সেই বিবেচনায় সুদানে জরুরী ভিত্তিতে আবাসিক মিশন স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রনাই-এ নিযুক্ত কাউন্সেলর মাইনুল হাসানকে খার্তুমে কাউন্সেলর হিসাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়, যিনি মিশন খোলার পরপূর্ণ মিশন প্রধান যোগদানের আগ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সময়ে চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তার অনুকূলে প্রদত্ত আদেশে ‘অন্তবর্তী কালীন’ শব্দটি অসাবধানতাবশত যুক্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,নতুন কোন দেশে মিশন খোলার সময় স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ সহজীকরণ ও মিশনের যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম সুসম্পন্ন করার জন্য প্রচলিত প্রথা অনুযায়ীপূর্ণ মিশন প্রধান নিয়োগের পূর্বে যে কোন জুনিয়র কর্মকর্তাকে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বিবেচনায় জনাব মাইনুল হাসানকে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করছে যে, ভবিষ্যতে যখন সুদানে পূর্ণাঙ্গ মিশন হিসাবে কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য মিশন প্রধান নিয়োগ দেয়া হবে তখন রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহন করা হবে।