Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 7th August 2023
Press Release

বাংলাদেশ দূতাবাস বুখারেস্টে যথাযোগ্য মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন।

 

০৫ আগস্ট ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে জাতির পিতা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, রণাঙ্গনের বীর সেনানী, যুব ও ক্রীড়া সংগঠক এবং একজন ক্ষণজন্মা প্রাণবন্ত ও উদ্যমী পুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪ তম জন্ম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রায় ৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ দাউদ আলী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

 

দিবসটি উপলক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন যে, ১৯৪৯ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রচণ্ড মেধাবী শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করেন। তিনি ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ছিলেন প্রথমসারির সংগঠক। । সংস্কৃতিমনা বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। শেখ কামাল ছিলেন ‘ঢাকা থিয়েটার’-এর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে ছিলেন ব্যাপক পরিচিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকের হাতে নিহত হওয়ার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন। নিহত হওয়ার পর তার পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ১৯৬৯-র গণ-অভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শেখ কামাল। তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার বলা হয় শেখ কামালকে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আবাহনী ক্রীড়াচক্র- যা আজকের আবাহনী ক্লাব। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন যে, রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সন্তান হয়েও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন শেখ কামাল। ক্ষমতার বৃত্তে থেকেও তিনি ছিলেন নির্লোভ ও নির্মোহ। রাষ্ট্রদূত সকল তরুণ ও যুবকদের শেখ কামালের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানের শেষভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরিশেষে উপস্থিত অতিথিদের দুপুরের খাবারের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।

2023-08-05
Download