ম্যানচেষ্টার, ২১ অক্টোবর ২০২৩:
অসংখ্য শিশু-কিশোরের মিলন মেলায় মুখরিত বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেছা মুজিবের কণিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর ৬০-তম জম্মদিনে ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালিত হয়েছে।
দূতাবাস কর্তৃক দুই দিন ব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে প্রথম পর্বে গত ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে শহীদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে ২১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ শহীদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শেখ রাসেল-এর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রসমূহ প্রদর্শন, থিম সংগীত পরিবেশন, ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের সমন্বয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন, বাংলাদেশী বংশোদ্ভ‚ত নাগরিকদের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মদের শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশনা, জন্মাদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা, শেখ রাসেল-এর স্মৃতিচারণ বিষয়ক আলোচনা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য সন্তানদের মতো রাসেলও ছিলেন সহজ-সরল ও অত্যন্ত বিনয়ী এবং আদর্শ পিতার যোগ্য সন্তান। খুব অল্প বয়সে পিতার আদর্শকে ধারণ করার জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। ছোট্ট রাসেল অন্যান্য সব শিশুদের সাথে নিজের যা কিছু ছিল ভাগাভাগি করতেন এবং মানুষের উপকার করার চেষ্টা করতেন। রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধু দীর্ঘসময় কারাগারে থাকার কারণে শেখ রাসেল তার জীবনের অধিকাংশ সময় পিতার আদর ও স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু পিতার আদর্শ ও নীতি ছোট্ট রাসেলকে অল্প বয়সেই আকৃষ্ট করেছিল। তিনি আরো বলেন যে, ছোট্ট রাসেল বেঁচে থাকলে আজ দেশ সেবায় পিতার মতো নিজেকে উৎসর্গ করতেন। কিন্তু বাঙ্গালী জাতির দূর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতক চক্রের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থাপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্য নির্মমভাবে শহীদ হন। সেদিন ছোট শিশু শেখ রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। রাসেল বাঁচতে চেয়েছিল। বাঁচার জন্য ঘাকতদের কাছে আকুতি জানিয়েছিল, মায়ের কাছে যাবার কথা বলেছিল। কিন্তু ছোট্ট রাসেলের সেই আকুতি ঘাতকদের একটুও বিচলিত করেনি; নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
অনুষ্ঠানের শেষে শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাতসহ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং আগত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।