২৩ মে ২০২৩, ম্যানচেষ্টারঃ
বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টার যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন যে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য গৌরব এবং সম্মানের। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষদের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজেকে উৎসর্গ করা। বিশ্বব্যাপী শান্তির স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর আপোসহীন অবস্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকা শান্তি সম্মেলনে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর এ প্রাপ্তি বিশ্বদরবারে বাঙালি জাতিকে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলেছিল।
সহকারী হাই-কমিশনার আরো বলেন যে, বিশ্ব শান্তি স্থাপনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কিংবদন্তীর দেখানো সেই পথেই হাঁটছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তি, রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসায় দৃঢ় অবস্থান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান ও মৈত্রী সম্পর্ক দৃঢ় করার পাশাপাশি ইত্যমধ্যে বিশ্ব শান্তি স্থাপনে তাঁর অনন্য ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।