মাদ্রিদ, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ঃ
মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আজ ১৭ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় দূতাবাসের সভাকক্ষে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের বাণী পাঠ করে শোনানো হয়, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয় এবং দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্যের উপর আলোচনা করতে গিয়ে সর্বপ্রথমে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। তিনি আরো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এইচ এম কামরুজ্জামানকে যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল মুজিবনগর সরকার। জাতির পিতার নেতৃত্বে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদনাথতলার আম্ররকাননে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দানের মাধ্যমে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগন কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সাংবিধানিক সরকার আত্ম প্রকাশ করে। এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙ্গালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করে। মুজিবনগর সরকার বিশ্ব জনমত সৃষ্টি, শরনার্থী ব্যবস্থাপনা, যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণ ও বাঙ্গালির স্বাধীনতা অর্জনকে বেগবান করে। তিনি স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে যার যার অবস্থান থেকে সকলকে অবদান রাখার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।