২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩/আংকারা, তুরস্কঃ
তুরস্কের আংকারায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং মহান শহীদ দিবস-২০২৩ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয়। চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স মোঃ রফিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও দূতাবাস চত্বরে নির্মিত শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে দূতাবাসের মিলনায়তনে সহকারী কন্সুল্যার কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন-এর উপস্থাপনায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ভাষা শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও শহীদদের স্মরণে শোক প্রকাশের নিমিত্তে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
অত:পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং শহীদ দিবস ও ভাষা শহীদদের নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতিচারনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ১৯৯৯ সালে UNESCO কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হিসেবে স্বীকৃতি দানের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করেন যার অসামান্য নেতৃত্বগুনে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ দীর্ঘ এ পথ-পরিক্রমায় বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের জন্য “আন্তর্জাতিক মার্তভাষা দিবস” অনন্য প্রেরণা যোগায়। পরিশেষে, সকলকে আপ্যায়নের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।