২৬ এপ্রিল ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস, বুখারেস্ট যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে। পবিত্র মাহে রমযান এর কারণে জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে ২৬ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে উদযাপন করা হয়। জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানটি J.W Marriot Grand Hotel এ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রোমানিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুপাক্ষিক কূটনীতি বিষয়ক মহাপরিচালক মিসেস এলিজাবেথা-মারিয়া ডেভিড। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ দাউদ আলী। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সন্ধ্যা ৬.৩০ টায় বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর স্বাগত বক্তব্যে ৫৩-তম স্বাধীনতা দিবসে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর সূদূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তিনি বলেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘ ০৯ মাসে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে । সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সাথে রোমানিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে রোমানিয়ার আন্তরিক মনোভাব পোষণের জন্য রোমানিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান । এছাড়া দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন । রোমানিয়ার শ্রমবাজারকে বাংলাদেশীদের জন্য সহজীকরণ করে তা সম্প্রসারিত করার আহ্বান করেন। প্রধান অতিথি মিসেস মিসেস এলিজাবেথা-মারিয়া ডেভিড তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদেরকে অভিনন্দন জানান। এছাড়া, রোমানিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন । ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে গভীরতর করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
অনুষ্ঠানে ৫০টির অধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীসহ প্রায় দুইশতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।