ম্যানচেষ্টার, ১৮ জুন ২০২৩:
বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টারের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ম্যানচেষ্টার শহরের বাহিরে লিভারপুলে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদ্যাপিত হয়েছে। লিভারপুলের লর্ড মেয়রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও লিভারপুলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং বৃটিশ বাংলাদেশীদের বিপুল ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ বর্ণিল রঙ্গে উদ্যাপিত হয়েছে।
লিভারপুলে বাংলাদেশ কমিউনিটির সহযোগিতায় দিনব্যাপী আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে শুরু হয়। শিশু-কিশোর এবং বড়দের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন রকমের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা এবং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডে বসবাসরত বৃটিশ বাংলাদেশীরা বাংলাদেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি এবং হাজার বছরের সংস্কৃতি নতুনভাবে পালন করার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত হয়েছেন। বিদেশী আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশের বর্ষবরণ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে সকলকে বাংলাদেশের নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
লিভারপুলে আয়োজিত বর্ষবরণে অনুষ্ঠানে বৃটিশ-বাংলাদেশী কর্তৃক স্থাপিত স্টল হতে বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যানচেষ্টার ও লিভারপুলের স্থানীয় সাংস্কৃতিক দল দিনব্যাপী গান বাজনা সহ নানা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতার শ্রেষ্ঠ উপহার স্বাধীন বাংলাদেশের কারণেই বিদেশের মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে সকলের সঙ্গে বাঙ্গালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য উদ্যাপন সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া অদম্য বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের, বিশেষ করে নতুন প্রজম্মের বাংলাদেশী উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের আরো বেশী অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।
লিভারপুলের সম্মানিত বৃটিশ-বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গ প্রথমবারের লিভারপুলে সহকারী হাই-কমিশন কর্তৃক এ রকম বর্ষবরণের আয়োজন করার জন্য সহকারী হাই-কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন যে, লিভারপুলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড়ো পরিসরে দিন-ব্যাপী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। লিভারপুল এবং আশে-পাশে বসবাসরত বৃটিশ বাংলাদেশীদের জন্য এ দিনটি ছিল অনেক আনন্দের এবং উৎসবমুখর। এরূপ সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আরো অধিকহারে আয়োজনের জন্য প্রবাসী বাংলদেশীরা সহকারী হাই-কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান।