মাদ্রিদ, ০৫ আগস্ট ২০২৩ ঃ
মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে দূতাবাস এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শেখ কামাল-এর জীবন ও কর্মের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা ও মোনাজাত।
বিকাল ৫:০০ ঘটিকায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্ম ও জীবনের উপর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনায় স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা করতে গিয়ে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স জনাব এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরনকারী সকল শহিদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। শহিদ শেখ কামালকে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন যে, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। তিনি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের যুব সমাজকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণে দূরদর্শী অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ১৯৭২ সালে তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেন। খেলাধুলায় উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য তিনি স্বাধীন দেশে প্রথম বিদেশী কোচ হিসেবে ব্রিটিশ নাগরিক মি. বিল হার্টসকে নিয়োগ করেন। খেলাধুলায় আধুনিক পোষাক ও ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহ করা তার নেশায় পরিনত হয়েছিল। শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতি জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ ক্ষেত্রে তাঁর ছিল ত্রিমুখী প্রতিভা। তিনি একাধারে অভিনয় করতেন, গান গাইতেন এবং সেতার বাজাতেন। আন্ত:কলেজ সেতার প্রতিযোগিতায় সমগ্র পাকিস্তানে তিনি রানার্স-আপ এবং আন্ত:কলেজ সংগীত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে তিনি সাংস্কৃতিক জগতে অমর হয়ে রয়েছেন। অফুরন্ত প্রানশক্তির অধিকারী মানুষটি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র ও নিরহংকারী। তিনি আরো বলেন ক্রীড়া ক্ষেত্রে শেখ কামালের প্রদর্শিত পথ, আদর্শ ও দিক নির্দেশনা অনুসরণ করলে বাংলাদেশের ক্রীড়া জগত আরো উন্নতি সাধন করবে।
আলোচনা সভায় স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশী সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ব্যক্তিবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং শেখ কামালের রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়। সভা শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে আপ্যায়ন করা হয় ।