জাকার্তা, ১৭ মার্চ ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস, জাকার্তা আজ ১৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস’-২০২৩ উদযাপন করে।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি মহোদয় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যগণসহ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
পবিত্র কোরআন হতে তেলায়াত এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয় কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তিতে আলোচনা সভা, জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার জোকজাকার্তায় অবস্থিত মোহাম্মাদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী ও আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে দূতাবাস কর্তৃক স্থাপিত “বাংলাদেশ কর্ণার”-এ প্রথমবারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, জাতির পিতা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দিবে। শিশুরা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি সকল চেষ্ঠা করে গেছেন। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করে সকলে মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সবশেষে উপস্থিত সকলের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।