ম্যানচেষ্টার, ১৫ আগস্ট ২০২৩:
ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮-তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস দুইটি পর্বে পালিত হয়েছিল। প্রথম পর্বে গত ১১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রোজ শুক্রবার ম্যানচেষ্টারস্থ শাহ্জালাল মসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টারে জুমার নামাজের পর সহকারী হাই-কমিশন কর্তৃক বিশেষ দোয়া-মাহফিল এবং মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। উক্ত দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সদস্যবৃন্দসহ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী নাগরিকগণ ও কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস পালনের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচির প্রথম ভাগে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টে শাহদাৎবরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচির দ্বিতীয় ভাগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্টে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এর পরে, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া, জাতীয় শোক দিবসের উপর আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান শোকাবহ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন যে, মা, মাতৃভ‚মি আর মাতৃভাষা যেমন অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে আবদ্ধ, তেমনি বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালী জাতি আর বাংলাদেশ একই সুতোয় গাঁথা। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে অতি দ্রæত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর বাংলাদেশ ত্যাগ, আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের অতি দ্রুত স্বীকৃতি আদায়ে সফল হন। কিন্তু, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ও বিয়োগান্ত ঘটনায় জাতির এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়। আগস্টের এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সাধন এবং বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের স্বপক্ষে লড়াই করার উদ্দেশ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কর্মসূচী এই স্বপ্নের ধারাবাহিক বাস্তবায়ন প্রয়াস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানানো হয়। আলোচনা সভায় ম্যানচেষ্টারস্থ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের শেষে ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।