Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 18th December 2022
Press Release

লিসবনে ‘মহান বিজয় দিবস ২০২২’ উদযাপন

 

লিসবন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ :
 
বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে আজ (১৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে)  ৫১ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। এ লক্ষ্যে দূতাবাস এক দিনব্যাপী  অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ব্যানার, পোস্টার, বেলুন, ফেস্টুন এবং রঙিন আলোকসজ্জায় দূতাবাসকে বর্নিল সাজে সজ্জিত করা হয়। সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচীর সূচনা করেন। 
 
 
সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ রঙিন পোশাক পরিধান করে এতে অংশগ্রহণ করেন। দূতাবাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সিরামিক ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের স্মরণে এক  মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অতঃপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।   
 
 
মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তাগণ বাঙালীদের জীবনে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য  তুলে ধরেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,  মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, সামন্তবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিত্যগ করে একটি আধুনিক, জনমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বিজয়ের সব চেয়ে  মৌলিক আর গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিসংগ্রামের গণমুখী নীতি অনুসরণে বাংলাদেশ মানবোন্নয়নে যে অগ্রাধিকার দিয়েছে  তার ফলস্রুতিতেই  স্বাধীন বাংলাদেশ অভুতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছ। পরিশেষে, মান্যবর রাষ্ট্রদূত শান্তি আর ঊন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সমগ্র দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। 
 
   
আলোচনা পর্বের শেষে দূতাবাস প্রবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রহমেই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের “আমার পরিচয়” কবিতার সাথে একটি মনোমুগ্ধকর নৃত্যালেখ্য পরিবেশিত হয়। পরবর্তীতে “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে” এবং “ও পৃথিবী এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে” গানের সাথে বাংলাদেশী নৃত্য শিল্পীদের উপস্থাপনা দর্শকদের বিমোহিত করে। এছাড়াও, কবি সিকান্দার আবু জাফররের লেখা “বাংলা ছাড়ো” কবিতাটির পরিবেশনা দর্শকের মাঝে মুক্তি সংগ্রামের আবহ সৃষ্টি করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের উপর নির্মিত প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়।
 
 
পরিশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ  কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গকে আপ্যায়িত করা হয়।
2022-12-16
Download