গত ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস, বেইজিং-এ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলেক্ষ্যে “শেখ রাসেল দিবস” পালন করা হয়। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং উক্ত অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, এম. পি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রী এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন এন.ডি.সি, শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট-এর কালরাতে শেখ রাসেলসহ শাহাদাত বরনকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণীও পাঠ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্ম দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন প্রজন্মের সদস্য ও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক কাটেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন এনডিসি, তাঁর বক্তব্যে শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন যে, শেখ রাসেলের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে যে আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় তার বিপরীত আদর্শের সাথে দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি বলেন এই হত্যাকান্ডের একদিকে রয়েছে নৃশংসতা, অন্যদিকে রয়েছে একটি অশুভ চক্রের তৎপরতা। তিনি ১৫ই আগষ্টের ঘাতকদের বিচারের আওতায় এনে বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করার কথাও উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন ‘সোনার বাংলা' বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার এবং বিদেশীদের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার আহবান জানান।
শিক্ষা মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শেখ রাসেল-এর বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। শিক্ষা মন্ত্রী শেখ রাসেলের বিভিন্ন চারিত্রিক গুনাবলীর কথা তুলে ধরে বলেন যে, তিনি বেঁচে থাকলে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতেন এবং বাংলাদেশ একজন আদর্শ নেতা পেতো। তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যত প্রজন্ম শেখ রাসেলের আদর্শকে বুকে ধারন করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে বলেন এবং সেই সাথে নতুন প্রজন্ম ও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের তিনি বাংলাদেশকে শিশুদের নিরাপদ বাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। শিক্ষা মন্ত্রী এ বারের শেখ রাসেল দিবসের প্রতিপাদ্য “শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক, নির্মল, দুর্জয়” যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, তাঁদের পরিবারের সদস্যগন এবং প্রবাসী বাংলাদেশী ও শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।