০৭ মার্চ ২০২৩, ম্যানচেষ্টার:
বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টার যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৩’ পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ সম্মানিত ব্রিটিশ-বাংলাদেশী নাগরিকগণ ও কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর উপর বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়।
সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে বহুল প্রত্যাশিত স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। একটি ভাষণ সমগ্র বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করেছিল।
ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং যুযোগপযোগী দিকনির্দেশনায় বাঙালী জাতি দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বহুকাক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। তাই তো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। সহকারী হাই-কমিশনার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বৃটিশ-বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান।