Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 9th August 2023
Press Release

মিয়ানমারে গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিতঃ

 

আজ বাংলাদেশ দূতাবাস ইয়াঙ্গুনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধায় পালিত হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধাঞ্জলি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর জীবনের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।

 

দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা, ঔষধ ও পোষাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী, ক্রীড়া সংস্থার সাথে যুক্ত কর্মকর্তা এবং ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক এন.জি.ও এর প্রতিনিধিগণের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তাগণ বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর জীবন চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

 

মিয়ানমারে নিযূক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ মনোয়ার হোসেন পি.এইচ.ডি তার বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে নির্মমভাবে নিহত পরিবারের সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও তিনি ৩০ লক্ষ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারানো ২ লক্ষ মা-বোনসহ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর আজীবন লড়াই ও আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন তার সহধর্মিনী ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো থেকে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দি থাকার সময় বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ এবং রাজনৈতিক দিক নির্দেশনার ক্ষেত্রে সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে বঙ্গমাতা পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে দীর্ঘকাল তার পাশে থেকে মানবকল্যাণ ও রাজনীতির যে শিক্ষা তিনি লাভ করেছেন, তাতে তিঁনি একজন বিদুষী ও প্রজ্ঞাবান মানুষে রূপান্তরিত হয়েছিলেন মর্মে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বেগম মুজিব মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করেছেন, বীরাঙ্গনাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনসহ বিয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার মতো মহৎ দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রদূত সকলকে জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

 

অনুষ্ঠানের শেষভাগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শাহাদতবরণকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।

2023-08-08
Download